ফ্রম দ্য পিচ টু পার্লামেন্টঃ দ্য জার্নি অফ মাশরাফি বিন মুর্তজা
মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম বোলিং স্তম্ভ ও একদিনের আন্তর্জাতিক দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তার ডাকনাম কৌশিক। তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার বোলিংয়ের ধরন ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। বাংলাদেশ জাতীয় দল ছাড়াও তিনি এশিয়া একাদশের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে খেলেছেন।
সূচনা
মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার জীবনী এক নজরে | |
নামঃ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ডাকনামঃ কৌশিক, ম্যাশ, নড়াইল এক্সপ্রেস, প্রিন্স অব হার্টস পিতাঃ গোলাম মোর্ত্তজা মাতাঃ হামিদা মোর্ত্তজা জন্মঃ ৫ অক্টোবর, ১৯৮৩উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) বয়সঃ ৩৯ বছর স্থানঃ নড়াইল, বাংলাদেশ স্ত্রীঃ সুমনা হক সুমি সন্তানঃ- দুই ১. মেয়ে: হুমায়রা মর্তুজা ২. ছেলে: সাহেল মর্তুজা পেশাঃ ক্রিকেটার,রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয়তাঃ বাংলাদেশ ধর্মঃ ইসলাম | শিক্ষাঃ ১.নড়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২.নড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ৩.নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ ৪.জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে |
প্রাথমিক জীবন:
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা নড়াইলে মাশরাফির জন্ম ১৯৮৩ সালের ৫ই অক্টোবর। তার উচ্চতা ৬ ফুট। ছোটবেলা থেকেই তিনি পড়াশোনার পরিবর্তে ফুটবলার আর ব্যাডমিন্টন খেলতে বেশি পছন্দ করতেন। আর মাঝে মধ্যে চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটা। তারুণ্যের শুরুতে ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহ জন্মে, বিশেষত ব্যাটিংয়ে যদিও এখন বোলার হিসেবে তিনি বেশি খ্যাতি লাভ করেছেন। সে জন্য তাকে নড়াইল এক্সপ্রেস নামেও অভিহিত করা হয়। সবাই খুব হাসিখুশি আর উদারচেতা মানুষ হিসেবে জানে।
অনুপ্রেরণা:
১৯৯০-এর দশকে নড়াইলের ক্রিকেটার-সংগঠক শরিফ মোহাম্মদ হোসেন উদীয়মান যুবকদের দেখাশোনা করতেন। মাত্র ১১ বছর বয়সী মাশরাফিকে তিনি তাঁর ক্লাব নারাইল ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলার অনুমতি দেন। সেই মুহূর্ত থেকে মাশরাফির গতি লক্ষণীয় হতে শুরু করে। ১৯৯১ সালের দিকে মাগুরায় বি. কে. এস. পি-র প্রতিভা অনুসন্ধান করতে তিনি বি. কে. এস. পি কোচ বাপ্পির সংস্পর্শে আসেন এবং বোলিংয়ের অনেক মৌলিক বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হন। পরের বছর, জাতীয় কোচ ওসমান খান নারাইলে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় খুলনায় খেলার আমন্ত্রণ পান মাশরাফি । সেই সময় থেকে তিনি খুলনা বিভাগীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলে সুযোগ পেয়ে ঢাকায় আসেন।
পরে তিনি জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলে নির্বাচিত হন। এরপর তাঁর বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টস তার বোলিং দেখে মুগ্ধ হন এবং পরবর্তীতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে মাশরাফির ভালো পারফরম্যান্স তাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ‘এ’ দলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। সমালোচনাও হয়েছে। ঢাকার কোনো সিনিয়র ডিভিশন লিগে খেলেননি মাশরাফি। তবে, মাশরাফি দুর্দান্ত বোলিং করে সমালোচকদের মনে করিয়ে দেন। ম্যাচে চারটি উইকেট নেন মাশরাফি। এরপর তিনি নিউজিল্যান্ডে যান এবং ‘নারাইল এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত হন। ইনজুরি ছাড়া আর কেউই থামাতে পারেননি মাশরাফি মুর্তজাকে।
ব্যক্তিগত জীবন:
নিজের শহরে তিনি প্রচণ্ড রকমের জনপ্রিয়। সেখানে থাকে প্রিন্স অব হার্টস বলা হয়। এ শহরে সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় সুমনা হক সুমির সাথে তার পরিচয় হয়। দুজনে ২০০৬ সালে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। মাশরাফি ও সুমি দম্পতি বর্তমানে দুই সন্তানের জনক। সন্তান- মেয়ে: হুমায়রা মর্তুজা, ছেলে: সাহেল মর্তুজা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক:
আক্রমণাত্মক গতিময় বোলিং অনূর্ধ্ব ১৯ দলে থাকতে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজর কেড়েছিলেন যিনি কিনা তখন দলটির অস্থায়ী বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। রবার্টসের পরামর্শে মাশরাফিকে বাংলাদেশ এ-দলে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ এ-দলের হয়ে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেই মাশরাফির জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। ৮ই নভেম্বর ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে,একই ম্যাচে খালেদ মাহমুদের অভিষেক হয়। বৃষ্টির বাগড়া অমীমাংসিত থেকে যায়।
মাশরাফি অবশ্য অভিষেকেই তার জাত চিনিয়ে দেন ১০৬ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে। গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ার হলেন তার প্রথম শিকার। মজার ব্যাপার হলো মাশরাফির প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ ছিল এটি। তিনি বিরল কৃতিত্বের অধিকারী ৩১ তম খেলোয়াড় এবং ১৯৯৯ সালের পর তৃতীয়। একই বছরের ২৩শে নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক হওয়া ফাহিম মুনতাসির ও তুষার ইমরানের সাথে। অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফ এর সাথে বোলিংয়ে ওপেন করে তিনি আট ওভার দুই বলে ২৬ রান দিয়ে বাগিয়ে নেন ২টি উইকেট। ব্যক্তিগত তৃতীয় টেস্ট খেলার সময় তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এর ফলে তিনি প্রায় দুবছর ক্রিকেটের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলায় তিনি সফলতা পান ৬০ রানে ৪ উইকেট নেয়ার পর আবার তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এই যাত্রায় তিনি প্রায় বছরখানেক মাঠের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। ২০০৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলার সময় রাহুল দ্রাবিঢ়কে অফস্ট্যাম্পের বাইরের একটি বলে আউট করে
তিনি স্বরূপে ফেরার ঘোষণা দেন সেই সিরিজে তিনি ধারাবাহিকভাবে বোলিং করেন এবং টেন্ডুলকারও গাঙ্গুলীকে আউট করার সুযোগ তৈরি করেন। তবে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তিনি উইকেট পাননি। এই সিরিজের একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তিনি ভালো বল করেন। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তার ঘর ছিল সবচেয়ে ভালো। কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাটকীয় জয়ে তিনি অবদান রাখেন। তিনি মারকুটে ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে শূন্য রানে আউট করেন এবং ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দেন। ঐতিহাসিক ভাবে বাংলাদেশে ভাল পেস বোলারের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশ মোহাম্মদ রফিকের মতো আন্তর্জাতিক মানের স্পিনার থাকলেও উল্লেখযোগ্য কোনো পেজ ছিল না। মাশরাফি বাংলাদেশের সেই শূন্যস্থান পূরণ করেন। ২০০৬ ক্রিকেট পঞ্জিকাবর্ষে মাশরাফি ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় বিশ্বের সর্বাধিক উইকেটশিকারী।
তিনি এই সময় ৪৯ টি উইকেট নিয়েছেন। ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ে মাশরাফি ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ৩৮ রানে ৪টি উইকেট দখল করেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি খেলায় নিউজিল্যান্ডের সাথে বিজয়ী মাশরাফির ভূমিকা রয়েছে। মাশরাফি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গতির বোলার এবং সমর্থকদের কাছে নড়াইল এক্সপ্রেস নামে পরিচিত। মাশরাফি একজন মারকুটে ব্যাটসম্যান, ভারতের বিপক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় তিনি পরপর চার বলে ছক্কা পেটান। সেই ওভার থেকে তিনি ২৬ রান সংগ্রহ করেন যা কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের এর জন্য এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে ১১ বার ইঞ্চুরি কারণে দলের বাইরে যেতে হয়েছে মাশরাফিকে। ইঞ্চুরি তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ২০১১ সালের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। ইঞ্চুরি এর কারণে অপারেশন টেবিলে তাকে যেতে হয়েছে সাতবার। ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে এতবার অপারেশন করার পর দেশের জন্য খেলার ইতিহাস বিশ্বে বিরল।
খেলোয়াড় জীবনের পরিসংখ্যান | ||||
প্রতিযোগিতা | টেস্ট | ওডিআই | টি২০আই | এফসি |
ম্যাচ সংখ্যা | ৩৬ | ২০৯ | ৫৪ | ৫৭ |
রানের সংখ্যা | ৭৯৭ | ১,৭৫২ | ৩৭৭ | ১,৪৫৮ |
ব্যাটিং গড় | ১২.৮৫ | ১৪.০১ | ১৩.৪৬ | ১৫.৬৭ |
১০০/৫০ | ০/৩ | ০/১ | ০/০ | ১/৬ |
সর্বোচ্চ রান | ৭৯ | ৫১* | ৪৪ | ১৩২* |
বল করেছে | ৫,৯৯০ | ১০,৪৫৮ | ১,১৩৯ | ৮,৯৭০ |
উইকেট | ৭৮ | ২৬৫ | ৪২ | ১৩৫ |
বোলিং গড় | ৪১.৫৩ | ৩১.৬৯ | ৩৬.৩৫ | ৩৫.০৫ |
ইনিংসে ৫ উইকেট | ০ | ১ | ০ | ০ |
ম্যাচে ১০ উইকেট | ০ | n/a | n/a | ০ |
সেরা বোলিং | ৪/৬০ | ৬/২৬ | ৪/১৯ | ৪/২৭ |
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং | ৯/– | ৫৮/– | ১০/– | ২৪/– |
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ৬ মার্চ ২০২০ |
অধিনায়কত্বের যুগ:
২০০৯ সালের শুরুতে মাশরাফি অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের সহকারী ছিলেন। পরবর্তীতে ওই বছরের জুন মাসে তিনি মোহাম্মদ আশরাফুলের স্থলাভিষিক্ত হন এবং তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পান সাকিব-আল-হাসান। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে নিজের প্রথম ম্যাচেই তিনি হাঁটুতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। ঐ খেলায় বাংলাদেশ জয়লাভ করে কিন্তু মাশরাফির চোটের কারণে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠের বাইরে ছিলেন। উক্ত ম্যাচসহ পরবর্তীকালে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেন সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের নভেম্বরের জিম্বাবুয়ের সাথে হোম সিরিজের তিনি পুনরায় অধিনায়কত্ব পান। তবে এবার তিনি শুধু একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য দায়িত্ব পান এবং এবারও তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের গৌরব অর্জন করে। শুধু নিজের পারফরম্যান্সের জন্য নয় লড়াকু সৈনিক এর মত লড়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক হিসেবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি স্থান করে নিয়েছেন প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমীর অন্তরে।
অবসর:
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে, মাশরাফে টি-২০আই থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। পরে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে, তিনি ওডিআই থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটি যুগের সমাপ্তি চিহ্নিত করে।
রাজনৈতিক কর্মজীবন:
মাশরাফি মুর্তজা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য হন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে, তিনি ১১তম জাতীয় সংসদ (জাতীয় সংসদ) নির্বাচনে নারাইল-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে জয়ী হন। এইভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর অনুপ্রবেশ ঘটে।
সংসদ সদস্য (এমপি) হিসাবে মশরাফি মুর্তজা বিভিন্ন সংসদীয় কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এবং তাঁর নির্বাচনী এলাকার স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এটি লক্ষণীয় যে পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়িত হওয়া কিছু দেশে অস্বাভাবিক কিছু নয়, যেখানে ক্রিকেটারদের প্রায়শই রোল মডেল হিসাবে দেখা হয় এবং সমাজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
মাঠের বাইরে:
ক্রিকেটের বাইরে, মাশরাফি মুর্তজা তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত। তিনি দাতব্য কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকেন, বিশেষ করে তাঁর নিজ শহর নারাইলে। মাশরাফি নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে নিবেদিত একটি অলাভজনক সংস্থা।
নড়াইল, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ (বাসস): নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে।
মাশরাফি সম্পর্কে একটি বই:
বাংলাদেশের ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার জীবনী গ্রন্থের লেখক দেবব্রত মুখার্জি বিবিসি বাংলাকে বলেন, মশরাফি নিজেই উত্থান-পতনের রোমাঞ্চকর গল্প।
তিনি বলেন, যারা জীবনে কিছু অর্জনের জন্য লড়াই করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তাদের মাশরাফির গল্প সাহস দেবে।
কেন তিনি মাশরাফির জীবনকাহিনি লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন জানতে চাইলে লেখক-সাংবাদিক দেবব্রত মুখার্জি বলেন, একজন মানুষের এমন নাটকীয় অ্যাডভেঞ্চার গল্প বিরল। আপনি অনেকের জীবনে সংগ্রাম দেখতে পাবেন, কিন্তু বারবার লড়াই করার এবং সংগ্রাম করে শীর্ষে পৌঁছানোর গল্প খুব কমই রয়েছে। একটা সময় ছিল যখন মাশরাফি ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন, কিন্তু তিনি ফিরে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। এটি জীবনের এক রোমাঞ্চকর গল্প। যারা জীবনে কিছু অর্জনের জন্য সংগ্রাম করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, তাদের উৎসাহিত করবে মাশরাফির জীবন কাহিনি।
তাঁর বইয়ে মাশরাফি সম্পর্কে কী লিখেছেন জানতে চাইলে দেবব্রত মুখার্জি বলেন, ‘মাশরাফি’ একটি খোলা বইয়ের মতো।