বান্দার ইবাদাতের সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ হলো সিজদাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর প্রতি ভালোবাসা ও মহব্বত নিয়ে বান্দা যখন আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে তখন বান্দার দাসত্ব ও গোলামীর বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
আপনি কি জানেন বান্দা কখন আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকছি থাকে?
সহীহ মুসলিম এ এসেছে, বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয় যখন সে সিজদায় যায়। (সহিহ মুসলিম ঃ৪৮২)
মহিয়ান রবের একেবারে কছে কিছু প্রশান্তিময় সময় কাটাতে, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে কিন্তু একান্তে সময় কাটাতে সেজদা বান্দার জন্য কত বড় নেয়ামত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বান্দার জন্য সেজদার চেয়ে বড় নেয়ামত আর কি হতে পারে? আর তাইতো রাসূল সাঃ বেশিরভাগ সময় সেজদায় পড়ে থাকতেন এবং প্রিয় রবের সান্নিধ্যে মধুর সময় অতিবাহিত করতেন। বুখারী শরীফে এসেছে,
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলিহি ওয়া সাল্লাম এগারো রাকাত নামাজ পড়তেন। ঐ নামাজগুলোতে তিনি এত দীর্ঘ সিজদাহ করতেন যে, তার ম্থা উঠানোর পূর্বেই তোমরা পঞ্চাশ আয়াতআপরিমাণ পড়তে পারবে’( সহিহুল বুখারি ১১২৩)
প্রতিটি মুসলমানের উচিত আল্লাহর ভালোবাসায় ব্যাকুল হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে একটানা বসে সিজদাহ করা। জমিনে মাথা রেখে প্রাণ ভরে রাহমানুর রাহিমের সান্নিধ্য অনুভব করা। অমনোযোগী অবস্থায়, অবহেলায় সিজদা করার সময় বান্দার চিন্তা করা উচিত এই সময়টুকুতেই তারা তাদের মহান রবের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। বান্দার চাওয়া পাওয়া স এই সময়টুকুতেই বান্দার কাছে চাইতে হবে।
আব্দুর রহমান বিন আউফ রাঃ তায়ালা আনহু বলেন, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহিরে বের হলেন আমিও তার পিছু পিছু চললাম। হাঁটতে হাঁটতে তিনি একটা খেজুর বাগানে প্রবেশ করে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন। তিনি সেজদাহকে এত দীর্ঘ করলেন যে আমার ভয় হচ্ছিল আল্লাহ তায়ালা তাকে অফার দিয়ে দিলেন নাকি। আমি তার অবস্থা দেখার জন্য কাছে আসলাম। তিনি মাথা তুলে বললেন কি হলো তোমার আব্দুর রহমান? আমি পুরো ঘটনা তাকে খুলে বললে তিন বললেন,
জিবরাইল আঃ বললেন, আমি কি আপনাকে সুসংবাদ দিব না যে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে বলেছেন, যে ব্যক্তি আপনার উপর দুরুদ পাঠ করবে, আমি আল্লাহ তার উপর রহম করব, যে ব্যক্তি আপনার উপর সালাম পেশ করবে আমি তার প্রতি শান্তি বর্ষিত করব। (মুসনাদু আহমদঃ১৬৬২)
তাই যেকোনো মুমিন মুসলমানের উচিত জীবনের সুখে দুঃখে যখনই আল্লাহর সান্নিধ্যে যেতে চাইবে সে যেনো সালাতে দাঁড়িয়ে যায়। সেজদায় দির্ঘ সময় আল্লাহর সহোচার্যে কাটাক। কারন সেই সময়ই বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি থাকে।