সাধারন মানুষের অসাধারন হয়ে উঠার পথের বাঁকে থাকে এক সংগ্রামের গল্প। এই টিকে থাকার লড়াইতে আশার রংধনুটা কখনো কখনো হয়ে উঠে বর্নহীন। স্বপ্ন ছুয়ে দেখার তীব্র চাওয়া ক্ষনে ক্ষনে পথ দেখায় তাদের। আর তাতেই টপকে যান তার পথে বাধার পাহাড়কে। সেই সফল পথের দেখা পেতে হয়তোবা সময় তেমনটা লাগেনি ইশতিয়াক সারোয়ার এরও। ব্যর্থতাকে দমিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন সমান তালে। আর পেয়েছেন সফলতার দেখাও দেশের ২য় বৃহত্তম পেমেন্ট গেটওয়ে এর ফাউন্ডার ইশতিয়াক।
তার এই জার্নির শুরুটা হয়েছিল ২০০৫ সালে সফটওয়ার এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি উদ্যেক্তা হিসেবে। কিন্তু পরবর্তীতে ২০১২ সালে তিনি সফটওয়্যার টেকনোলজি থেকে ফিনানশিয়াল টেকনোলজিতে ট্রান্সফার হওয়ার উদ্যোগ নেন। এবং তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ তে আমার পে এর সৃষ্টি হয় এবং ২০১৭ সাল থেকে মার্কেটে দেখতে পাওয়া যায়। যা বর্তমানে ফিনটেককে তাদের প্রাইমারি বিজনেস হিসেবে রেখেছে এবং মুঠোফোন এসএমএস গেটওয়ে কে সেকেন্ডারি বিজনেস হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তাছাড়া আমার পে কে পে প্যাল এবং স্ট্রাইপ এর বাংলা ভার্সন হিসেবে ও তুলনা করা হয়। তারাই বাংলাদেশে প্রথম সুপার এপ লঞ্চ করেছেন ,যেখানে একজন মানুষের জীবনকে স্মার্ট করে তুলতে যা যা প্রয়োজন তার সবই রয়েছে এই এপটিতে। খাবার অর্ডার থেকে শুরু করে, প্লেন টিকেটিং, অনলাইন পেমেন্ট, সাবস্ক্রিপশন , মোটামোটি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু আমরা এই এপটি থেকে পেতে পারি।
ব্যক্তিজীবনে তিনি কম্পিউটার সাইন্স এবং আইটি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন দেশের স্বনামধন্য এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে তিনি এমএসসি শেষ করেন ২০০৬ সালে।
তাছাড়া তিনি এবং তার টীম বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন দেশের প্রথম ২ হুইলার স্কুটার। বাংলাদেশের অটোমোবাইল সেক্টরে এক যুগান্তকারী বিপ্লব আনতে যাচ্ছেন তিনি এবং তার সহকর্মী ফাহিম হোসাইন।হয়তোবা তারাই নিয়ে আসছেন বাংলাদেশের অটোমোবাইল সেক্টরে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন।