লেবাননের ইরানপন্থি সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ’তারা ‘খায়বার’ নামের একাধিক অভিযানের অংশ হিসেবে বেসামরিক জনগণের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে সংগঠনটি জানায়, ‘ও নাসরাল্লাহ! আমরা তোমার সেবায় আছি স্লোগান দিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০ এবং গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের তেল আবিবের উপকণ্ঠে অবস্থিত গ্লিলট ঘাঁটিতে একাধিক ‘ফাদি-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ফিলিস্তিন বিষয়ক সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকল এ খবর জানিয়েছে।’
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, ‘তেল আবিবে রকেটের টুকরো পড়ে কমপক্ষে দুই ইসরায়েলি নাগরিক মাঝারি আঘাত পেয়েছে। এছাড়া, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা আকাশে বাধাপ্রাপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো তেল আবিবের উত্তরে রাস্তায় পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।’
ইসরায়েলি দমকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘তেল আবিবের উত্তরে কফার সাবার কাছে একটি রকেট পড়লে আগুন ধরে যায়। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কেএএন জানিয়েছে, লেবানন থেকে বৃহত্তর তেল আবিব এলাকার দিকে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, মোট ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র লেবানন থেকে তেল আবিবের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।’
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘হিজবুল্লাহর রকেট হামলার কারণে লক্ষাধিক ইসরায়েলি নাগরিক বোমা আশ্রয়ে গেছে। ইসরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও বাধা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।’
মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে একযোগে সামরিক অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু ছিল সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম। লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে হিজবুল্লাহ সরাসরি এই যুদ্ধে অংশ নিলেও সীমিতভাবে জড়িত ছিল। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।