শুক্রবার, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
22 C
Dhaka

আফগানিস্তানের অর্থনীতির চালক তালেবান সরকার ?

spot_img

ভিডিও

- Advertisement -

‘আফগানিস্তান’ নামটি শুনলেই সবার আগে ভেসে ওঠে যুদ্ধ, সন্ত্রাস, রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ কিংবা হতাহতের হরেক রকম অমানবিক দৃশ্য। যুদ্ধবিধ্বস্ত হলেও আফগানিস্তানের অর্থনীতি সমৃদ্ধ নানা খনিজ সম্পদে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রত্মতাত্ত্বিক নানা নিদর্শনে ভরপুর আফগানিস্তান। দেশটির সংস্কৃতিমনা মানুষগুলোর আবিষ্কার ও সরল জীবনযাপনের অপরূপ দৃশ্যাবলী যেকোনো পর্যটককে আকর্ষণ করতে সক্ষম। দেশটি সম্পর্কে বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তক সৈয়দ মুজতবা আলীর স্মৃতিগ্রন্থ ‘দেশে-বিদেশে’ পড়ে অভিভূত হননি, এমন বাঙালি গ্রন্থপ্রেমিক খুবই নগণ্য। ১৯০৪-১৯৭৪ মেয়াদে সেকালের আফগানিস্তান তেমন উন্নত না হলেও তাদের সরল প্রকৃতি এবং জনগণের নির্ভৃত জীবনযাপন পর্যটকদের জন্য চরম আকর্ষণীয়। অথচ এ ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষই জানতো না।

প্রায় সোয়া চার কোটি মানুষের দেশ আফগানিস্তানের মোট দেশীয় উৎপাদন বা জিডিপি মাত্র ৭ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে দেশটির মাথাপিছু জিডিপি বা মাথাপিছু আয় মাত্র ২০০ মার্কিন ডলারের কম। বছরে দেশটির রপ্তানি ১.২ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা বেশি। মোট রপ্তানির ৯৪ শতাংশই কৃষি, খনিজ এবং বস্ত্র পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবেষ্টিত দেশ আফগানিস্তান মূলত ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যস্থলের মালভূমির ওপর অবস্থিত। দেশটির মধ্যে তিনটি বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী পশতুন, তাজিক এবং হাজারা। এদের মধ্যে পশতুনরাই বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু বাস্তবতা হলো ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতন ঘটার আগমুহূর্ত পর্যন্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি বলতে তেমন কিছু ছিল না। বিপুল আয়তনের দেশটিতে ৭/৮ বছর আগেও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করতো প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষ।

প্রশ্ন হচ্ছে, প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি নিয়ে কেন এত আলোচনা-সমালোচনা? কোন ম্যাজিকে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি? এর সোজাসাপটা উত্তর না থাকলেও তালেবান সরকারই যে মূল ক্রীড়নক সেটা স্বীকার করেন অনেকেই। বিশেষ করে মার্কিন বাহিনীকে সরিয়ে দিয়ে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দখল পায় তালেবানরা। তবে, দেশটিকে কব্জায় নিতে পারলেও সম্পূর্ণ ফাঁকা রাজকোষ পায় তালেবান সরকার। জানা যায়, তালেবানরা কাবুলে পৌঁছানোর আগেই দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান তাজাকিস্তানে। সেসময় গনি ১৭ মিলিয়ন তথা প্রায় পৌণে দুই কোটি মার্কিন ডলার নিয়ে সরে পড়েন। একইভাবে গনি সরকারের ক্ষমতাধররাও সটকে পড়েন নগদ অর্থ আর মূল্যবান সম্পদ নিয়ে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হলেও অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে আর্থিকভাবে তালেবান সরকারকে পঙ্গু করে রাখার সব ধরনের চেষ্টাই অব্যাহত রাখে। এমনকি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভে থাকা আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় দশ বিলিয়ন ডলার আটকে রাখে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি কূটনৈতিক দিক থেকে প্রায় সারা বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার কারণে অর্থনৈতিকভাবেও একঘরে হয়ে পড়ে তালেবান সরকার। ধস নামে ত্রাণ ও আন্তর্জাতিক সাহায্যনির্ভর অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও। সবমিলিয়ে বলা যায়, একেবারে শূন্য হাতে আফগানিস্তানের অর্থনীতির হাল ধরতে হয় তালেবান শাসকদের। এতকিছুর পরও কিভাবে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করলো তালেবান সরকার?

দৃঢ় মনোবল আর স্বাধীনচেতা সিদ্ধান্তই তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানকে আজকের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। বৈরী আমেরিকা এবং তার মিত্রদের সুরে সুর মিলিয়ে পশ্চিমা মিডিয়া আফগানিস্তান এবং তালেবান সরকারকে নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রচার করলেও থামানো যায়নি তাদের অগ্রগতি। গণতন্ত্রহীনতা, শরীয়াহভিত্তিক আইনের ভয়াবহতা, নারীর ক্ষমতা ও অধিকার লংঘন বা মানবাধিকার লংঘনের মতো নেতিবাচক খবর দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে দেশটিকে অত্যন্ত ভয়ংকরভাবে উপস্থাপন করার পরও দমানো যায়নি আফগানিস্তানকে। ফলশ্রুতিতে আফগানিস্তান কোনো রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পেলেও বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করেছে পরাশক্তি চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার ও পাকিস্তানের সাথে। কঠোর হস্তে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছে তালেবানরা। ক্ষমতায় আসার দুই বছরের মধ্যে আফিম চাষ ৯৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় দেশটি। অথচ এতদিন বিশ্বের ৮০ শতাংশ আফিম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল আফগানিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত আগের সরকারগুলো ২০ বছরেও যেখানে পপি চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, সেই কাজ দু’বছরের মধ্যে করে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে তালেবান সরকার। মুদ্রা ব্যবস্থাপনাসহ অর্থনীতির নানা সূচকেও বিস্ময়কর উন্নতি করেছে দেশটি। পূর্ববর্তী সরকারগুলোর চরম দুর্নীতিগ্রস্ততা থেকেও অভাবনীয় উন্নতির দিকে ধাবমান তালেবান শাসন ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বের সেরা মুদ্রাগুলোর তালিকায় নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছে আফগানিস্তানের মুদ্রা-আফগানি। এমনকি, পারফরমেন্সে শক্তিশালী মার্কিন ডলারকেও ছাড়িয়ে গেছে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মুদ্রা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে তালেবান সরকার। আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ৬৫০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে দেশটি। বিপুল আয়তনের জমিতে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে চাষযোগ্য করতে নিজস্ব অর্থ ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে ১০৮ মিটার প্রস্থ ও ২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুশটেপা ক্যানাল তৈরি করছে তালেবান সরকার। একের পর এক খনিজ সম্পদ আবিষ্কার হচ্ছে আফগানিস্তানে। ডালিমের রস থেকে উৎপাদিত আফগানিস্তানের পামির কোলা শাফা নামের একটি পানীয়ও রপ্তানি হচ্ছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে। ইতোমধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে সুপার কার তৈরির ঘোষণাও দিয়েছে আফগানরা। এমন ইতিবাচক অনেক খবরই এখন গণমাধ্যমের কল্যাণে জানতে পারছে বিশ্ববাসী।

পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমসহ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের বড় একটা অংশের ধারণা ছিল, বন্দুকের যুদ্ধে তালেবান জয়ী হলেও অর্থনীতির যুদ্ধে তারা দ্রুত পরাজিত হবে। কিন্তু দুই বছরেরও কম সময়ে তাদের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে ছেড়েছে তালেবান সরকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করা আফগানিদের আস্থায় এনে রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে সফলতা লাভ করে তালেবান সরকার। পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্যেও আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু কিভাবে সেই অসাধ্য সাধন করলো তালেবানরা? তীব্র সংকটের কারণে যে সরকারের সামনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন দেয়ার সামর্থ্যও ছিল না, সেই তালেবানরা সফলতার মুখ দেখলো কিভাবে?  

তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই লেনদেনে মার্কিন ডলার এবং পাকিস্তানি রুপির ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি দেশটি থেকে ডলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার ওপর প্রচন্ডরকম কড়াকড়ি আরোপ করে। সেইসাথে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য অবৈধ ঘোষণা করে আইন লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে, দেশের বাইরে থাকা ৫০ লাখ প্রবাসীদের কাছ থেকে প্রবাসী আয়- রেমিট্যান্স টানতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা শুরু করে। এর ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বদলে ডলারের বাজার ছেড়ে দেয়া হয় দেশটির মানি চেঞ্জার বা মুদ্রার কারবারিদের হাতে। স্থানীয়ভাবে যারা ‘সরাফ’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের গুলিস্তানের নতুন-পুরনো টাকা বেচাকেনার মতো অনেকটা টুলের ওপর বসে লেনদেন করে বৈদেশিক মুদ্রা। এসব কাজে তালেবান সরকার কোনো হস্তক্ষেপ না করায় মুদ্রাবাজারের কলেবর বহুগুণ বেড়ে যায়। এসব খোলাবাজারে লেনদেনের কোনো সীমা না থাকায় সরাই শাহজাদায় প্রতিদিন হাতবদল হয় কোটি কোটি ডলার। চাঙা হতে থাকে দেশটির মুদ্রাবাজার। অন্যদিকে, ডুরান্ড লাইন দিয়ে পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে পাচার হওয়া ডলারও ভূমিকা রাখে তালেবানদের অর্থনীতিতে। ডুরান্ড লাইন নামের অদৃশ্য সীমানা দিয়ে অবাধে ডলারের লেনদেন করেন দু’পাশের পশতুন জনগোষ্ঠী। তাদের হাত ধরেই গতি সঞ্চার হয় আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে। এর ফলে, ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে ডলারের বিপরীতে আফগানিস্তানের মুদ্রা আফগানির দর বেড়ে যায় ৯ শতাংশ, যা ঐ প্রান্তিকে সর্বোচ্চ। সবমিলিয়ে ২০২৩ সালেই আফগানির দর বাড়ে ১৪ শতাংশ। সেই বছরে বিশ্বের যেসব মুদ্রার দর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় তারমধ্যে তৃতীয় অবস্থানে ছিল আফগানি। মুদ্রার দর বিবেচনায় আফগানির চেয়ে এগিয়ে ছিল শুধু কলম্বিয়া এবং শ্রীলঙ্কার মুদ্রা।

পশ্চিমাদের প্রচার-প্রচারনাও আড়াল করতে পারেনি আফগানিস্তানের অর্থনীতির সাফল্য। তাদের অর্থনীতি এবং মুদ্রার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বীকৃতি মিলেছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনেও। আর্থিক খাতের অন্যতম বড় মোড়ল-বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দেয়, ২০২৩ সালেই আফগানিস্তানের অর্থনীতি সংকোচনের ধারা থেকে বেরিয়ে আসবে। সেইসাথে জানায়, ২০২৫ সাল পর্যন্ত তালেবান অধ্যুষিত দেশটিতে ২ থেকে ৩ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে। সব ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে আফগানিস্তানের অর্থনীতির মূল সূচকগুলোতে ইতিবাচক অগ্রগতির পূর্বাভাস দেয় বিশ্বব্যাংক। ২০২২ সালের জুনে যে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৮.৩ শতাংশ, তা একইবছরের শেষদিকে নেমে আসে ৯.১ শতাংশে। পরে সেই মূল্যস্ফীতি ৬.১ শতাংশে নামার পূর্বাভাস দেয় বিশ্বব্যাংক। শুরুতে নগদ অর্থের চাপে থাকলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন-ভাতাও নিয়মিত পরিশোধ করতে সক্ষম হয় তালেবান সরকার। ক্ষমতাগ্রহণের ২০২১ সালের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়ে ২০২২ সালেই এক দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। রপ্তানি বৃদ্ধির ধারাও ইতিবাচক। অন্যদিকে, বড় আশা জাগিয়েছে দেশটিতে থাকা বৈদ্যুতিক ব্যাটারির মূল উপাদান- লিথিয়ামের মজুদ। খনিজ এ পদার্থে সমৃদ্ধ আফগানিস্তান লিথিয়াম দিয়েই আয় করবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। গবেষণা বলছে, আফগানিস্তানের মাটিতে উত্তোলনযোগ্য লিথিয়ামের সম্পদমূল্য কমবেশি তিন ট্রিলিয়ন ডলার বা তিন লাখ কোটি ডলার। এছাড়া স্বর্ণ, রত্ম বা লৌহ ভান্ডার তো রয়েছেই। সে কারণে পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন, রাশিয়া, তুরস্কের মতো দেশ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ৬৫০ কোটি ডলারের চুক্তিও করেছে তালেবান সরকার।

আফগানিস্তানের অর্থনীতির গেমচেঞ্জার মূলত কুশটেপা ক্যানেল। ক্ষমতা গ্রহণের পরই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার তাগিদ শুরু থেকে অনুভব করে তালেবানরা। সেই তাগিদ থেকে রূক্ষ, ধূসর আর পার্বত্যভূমিকে চাষযোগ্য করতে ইতিহাসের সবচেয়ে মেগাপ্রকল্প কুশটেপা ক্যানেল নামের কৃত্রিম খাল খননের কর্মসূচি হাতে নেয়। ১০৮ মিটার প্রস্থ এবং ২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুশটেপা ক্যানেল নির্মাণের চিত্র বিশ্বকে চমকে দেয়। যা শুধু ৬ লাখ হেক্টর জমিতে গম বা ভোজ্যতেলের আবাদই বাড়াবে না, কর্মসংস্থান করবে আড়াই লাখ আফগান নাগরিকের। অন্যদিকে, বড় সমালোচনার মধ্যেও দেশটিতে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ফলও পায় তালেবান সরকার। সবমিলিয়ে তালেবানদের ক্ষমতা নেয়ার পর আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহ ঘটে। যা অনেকটাই বদলে দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ৯৯ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ ইসলাম প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তানকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয়ই হয়তো এগিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি।

- Advertisement -
spot_img

আলোচিত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ

ভিডিও