শিশুদের আকিকা করা মুস্তাহাব। সন্তান জন্মের পর পশু জবাই দিয়ে মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করা হয়। মূলত জন্মের সপ্তম দিনে পশু জবাই করাকেই আকিকা বলা হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.)-বলেন, ‘যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছা করে, সে যেন তা পালন করে। ছেলের জন্য সমমানের দুইটি ছাগল। আর মেয়ের জন্য একটি।’
যিনি সন্তানের লালন-পালন কিংবা ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করছেন, তিনিই সন্তানের আকিকা আদায় করবেন। তাই এই দায়িত্ব পিতার ওপর ন্যস্ত হয়। পিতার সামর্থ্য না থাকলে সে ক্ষেত্রে মা সামর্থ্যবান হলে তিনি অথবা তাদের পক্ষ থেকে দাদা-দাদি, নানা-নানি আকিকা আদায় করবেন। কিন্তু কোরবানির পশুর সঙ্গে আকিকা দেয়া কি বৈধ?
যেসব জন্তু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না, সেসব জন্তু দিয়ে আকিকাও শুদ্ধ হয় না। তাই আকিকার ক্ষেত্রে জন্তুর বয়স ও ধরনের দিক থেকে কোরবানির জন্তুর গুণ পাওয়া যায়, এমন জন্তুই নির্বাচন করতে হবে। এমনকি কোরবানির পশুর সঙ্গেও আকিকা করা বৈধ। একটি পশুতে ৩ শরিক কোরবানি হলে সেখানে আরো ২-১ শরিক আকিকার জন্যও দেওয়া যেতে পারে। একই ভাবে কোরবানির মতো একই পশুতে একাধিক ব্যক্তি শরিক হয়ে আকিকা আদায় করতে পারবেন। বড় পশু, অর্থাৎ গরু, মহিষ, উট দিয়ে ছেলের জন্য ১ শরিক আকিকা দিলেও তা আদায় হয়ে যাবে।
নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী ছেলেসন্তানের পক্ষ থেকে একই ধরনের ২টি বকরি এবং মেয়ের পক্ষ থেকে ১টি বকরি আকিকা করা সুন্নত। তবে ছেলের পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা করলেও মুস্তাহাব আদায় হয়ে যাবে। যদিও ২টি করা উত্তম।
সন্তান ভূমিষ্ঠের সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। এটি কোরবানির গোশতের মতোই। কাঁচা ও রান্না করা উভয়টিই বণ্টন করতে পারবে। সর্বস্তরের লোক তা খেতে পারবে। এমনকি নিজের মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, ধনী-গরিব সবাই নিশ্চিন্তে আকিকার গোশত খেতে পারবে।