গত কয়েক বছর ধরেই্ এই সময়ে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘এবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা অক্টোবর মাসে আরও বাড়তে পারে। কারণ, রোগটি বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। স্থানীয় সরকারের অব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ের অভাব বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। তাঁদের পরামর্শ, পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আগে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের জোর প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত।’
বর্ষায় টানা বৃষ্টির সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে। এ সময় সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ ডেঙ্গুতে শরীরের প্লাটিলেট কমে যায় অনেকটাই। এ ছাড়া শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে শরীরে পুষ্টি গ্রহণ আরো বাড়াতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, ‘ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। জ্বর হলে অনেকেই খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেন। এর থেকে হতে পারে পানিশূন্যতা।’
ডেঙ্গু রোগীকে যা খেতে দেবেন
ডাবের পানি
ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরে তরল পদার্থের শূন্যতা থেকে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি হয়। শারীরিক সুস্থতায় ডাবের পানি অনেক উপকারী। তাই এ সময় বেশি করে ডাবের পানি পান করুন। এতে থাকে ইলেক্ট্রোলাইটসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
ডালিম
এই উপকারী ফলটি খেলে ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভূতিও দূর হবে। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। এ সময় ডালিম খেলে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়বে।
কমলা
কমলা বা মালটার রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এ দুটি উপাদান ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে উপকার করে।
হলুদ
হলুদ দুধ খাওয়ার একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। রান্নাঘরের একটি উপাদান হলো হলুদ। যা চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
ব্রোকলি
যদি কোনো ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তাহলে অবশ্যই তাকে ব্রোকলি খাওয়াতে হবে। ব্রোকলি হলো ভিটামিন ‘কে’র একটি ভালো উৎস। অন্যদিকে ভিটামিন ‘কে’ রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে।
পালং শাক
পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ওমেগো-থ্রি ফ্যাটি এসিড। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে এই শাক। পালং শাক গ্রহণে ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট দ্রুত বাড়বে।
ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন। একই সঙ্গে মসলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান থেকে দূরে থাকবেন। এসব খাবার শরীরের কোনো উপকারেই আসে না বরং ক্লান্তি ও অসুস্থতা বাড়িয়ে দেয়।