শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

তবে কি ক্যাপ্টেন হিসেবে মাশরাফি সেরা

১৯৯০ এর ভারত ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফর। সে সফরে রান পাননি ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটার সঞ্জয় মাঞ্জারেকর। সবচেয়ে বড় কথা সঞ্জয়ের আউটের ধরন নিয়ে। রিচার্ড হ্যাডলির সুইংয়ে জাস্ট নাকানিচুবানি খেয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তিনি।

 

স্বাভাবিকভাবেই মাঞ্জারেকরের মনের অবস্থা তাথৈবচ। আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। এর দু মাস পরেই ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে দেখা হলো ইমরান খানের সঙ্গে। তখনো নিজেকে ফিরে পেতে যুদ্ধ চলছে সঞ্জয়ের। মন খারাপের বিষণ্নতা, বাদ পড়ার শঙ্কা-দুটো সমান্তরালে জেঁকে বসা সঞ্জয়ের পিঠে হাত রেখে সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের অন্যতম ইমরান বললেন-এ কী সঞ্জয়, তুমি হ্যাডলিকে এত ব্যাকফুটে খেলতে গেলে কেন? তোমার তো সিমিং পিচে ওকে আরও সামনে এসে খেলা উচিত ছিল। যাক যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এই সফরে ভালো করে খেলো। তোমার ওপর আমার অনেক আশা।’ এই এক কথাতেই সঞ্জয় ফিরে পেয়েছিলেন হারানো আত্মবিশ্বাস। মনে মনে জন্ম নেয় এই শব্দদ্বয়-‘আমি পারবই।’

 

ভারত বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার আজও কথা ওঠলে বলেন, ‘পিঠে হাত রেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক কথা কেউ তাঁকে কখনো বলেনি!’ আজও বিশ্বের সর্বকালের সেরা একাদশ বাঁচতে বললে কপিল দেব নয়, ইমরান খানকে তো রাখেনই, সঞ্জয়ের অধিনায়কও কাটা তারের বেড়ার ওপারের পাকিস্তানের প্রাক্তন ‘উজির এ আজম’!  

- Advertisement -

 

ইমরান খানের মতো আমাদের ক্রিকেটেও এসেছিলেন এক ধ্রুবতার। নাম তাঁর মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইমরান যেমন ক্রমেই হতাশার সাগরে তলিয়ে যেতে থাকা আবদুল কাদিরকে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সরণীতে ফিরিয়ে বানিয়েছিলেন বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার, মাশরাফিও তেমনি হারিয়ে যেতে বসা সাব্বির রহমান-এনামুল হক বিজয়দের মাথার ওপর  ‘তুই পারবি’ বলে দিতেন আস্থার ছায়া। ইমরানের জহুরি চোখ যেমন ওয়াসিম আকরামকে নেট থেকে তুলে এনে বিস্তর সুযোগ সুবিধা দিয়ে বানিয়েছিল বিশ্বত্রাস বোলার, তেমনি আজকের তাসকিন আহমেদের দেশের এক নম্বর পেসার হওয়ার পেছনেও তো আছে মাশরাফির ভরসার ওই দুটি হাত! অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়ে কথা বলতে গেলে তাই কথা ফুরিয়ে যাবে, লিখতে গেলে হয়তো শেষ হয়ে যাবে কালি। তবুও রয়ে যাবে রেশ! গল্পটা যে-শেষ হয়েও হইলো না শেষ!

 

মাশরাফির আস্তিনে হয়তো ইমরান খানের মতো ঘণ্টায় ৯০ মাইল গতিতে আচড়ে ফেলা গোলা ছিল না। ছিল না চোখে চোখ রেখে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনা ব্যাটিং। হয়তোবা ইমরানের মতো মাঠেও ছিল না ওই ডাকাবুকো মাস্তানি। বারবার চোটে পড়া, তীব্র কাটাছেড়া, স্ট্রেচারে ভর, কিংবা পায়ে ব্যান্ডেজ-পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে শারীরিক নানা সীমাবদ্ধতার সঙ্গে লড়তে লড়তেও কিন্তু মাশরাফি আজও বাংলাদেশের সেরা পেসার। নিয়মিত ওপেনিং বোলিংয়ের ধকল নিতে নিতে তাঁর ব্যাটিং সত্তাটা হয়তো সেভাবে বিকশিত হতে পারেনি। কিন্তু যখনই দল বিপদে পড়েছে কথা বলেছে ম্যাশের ব্যাট। আর আলোচনার বিষয়টি যদি হয় অধিনায়কত্ব, সেখানে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের মাপকাঠিতে আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। খরস্রোতা চিত্রার ঢেউয়ের বিপরীতে সাঁতরে, গ্রামের আলো আলো-হাওয়ায় বেড়ে উঠা ৩৯ বছরের মানুষটা যে শুধুই অধিনায়ক নন, মহানায়ক!

 

এবার অধিনায়ক মাশরাফির পরিসংখ্যানের ওপর আলো ফেলা যাক! ম্যাশের অধিনায়কত্বকে মোটাদাগে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম দুই ভাগে তেমন কিছু করতে পারেননি। অধিনায়ক হিসেবে প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই যে ওই দুইবার চোট তাঁকে পাঠিয়ে দিয়েছে মাঠের বাইরে। কেড়ে নিয়েছে মানসিক শক্তিও। তৃতীয়বার ফিরেই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মাশরাফিকে। বাংলাদেশও পেয়ে যায় তার ক্রিকেট ইতিহাসের গর্বিত অধিনায়ককে।

 

ক্রিকেটারদের ঘরের ঝামেলা মেটানো থেকে, ব্যক্তিগত বিপদে পাশে দাঁড়ানো, নানা ঝড়-ঝাপটা থেকে সতীর্থদের রক্ষায় ঢাল হয়ে দাঁড়ানো, ও নিজের সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব আর দক্ষতায় বাংলাদেশ দলটাকে একটা ‘পরিবার’ রূপে গড়ে তোলেন তিনি। এ যেন অধিনায়ক মাশরাফির শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতি হওয়ার দুরন্ত এক সফর!

 

২০০৭ বিশ্বকাপের পর হাবিবুল বাশার সুমন অবসরের পৃথিবীতে ঢুকে পড়লে তাঁর উত্তরসূরি বাছতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। তখনকার সময়ের হিসেবে অভিজ্ঞতা আর ভয়ডরহীন পারফরম্যান্সের কল্যাণে সেটি উঠে আশরাফুলের হাতে। কিন্তু আশরাফুলের অধিনায়কত্বের ফুল ঝরে যায় দ্রুতই। ২০০৯ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর সরতে হয় তাঁকে। বিশেষ করে ওই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে তখনকার পুঁচকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারটাই অধিনায়ক আশরাফুলের ভবিষ্যৎ লিখে দেয়। ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে দল হারলেও আবার ব্যাটে-বলে সেদিন উজ্জ্বল ছিলেন মাশরাফি। ১৬ বলে দুইশর ওপর স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৩৩ রানের পর  বল হাতেও ৩০ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। যে ম্যাচের ফলে আশরাফুলের বিদায়ঘণ্টা বেজে যায়, সেই ম্যাচের ব্যক্তিগত সাফল্যই আবার মাশরাফিকে বানিয়ে দিল অধিনায়ক! ওই বছরের ৯ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্ট দিয়ে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ‘সুখ সইল না’ মাশরাফিকে। বোলিংয়ে নেমেই পড়েন চোটে। ওই টেস্টটা খর্বশক্তির ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল, তবে হারাতে হয়েছিল মাশরাফিকে। আপাতত প্রথম পর্বের অধিনায়কত্বও শেষ হয় মাশরাফির। মাশরাফির অবর্তমানে তাঁরই ভাইস ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান ভয়ে নিয়ে যান দলের ভার। চোট সারিয়ে বেশ কিছুদিন পর ফিরে আসেন মাশরাফি। কিন্তু সেই পর্বও দীর্ঘস্থায়ী হলো না। সাত ম্যাচ খেলার পরও আবারও সেই চোট, আবারও মাশরাফির বাইরে চলে যাওয়া। এই সময়ে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ, তবে সেটিতে অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়ে তেমন একটা হইচই হয়নি। কেননা, তখনো যে অধিনায়ক মাশরাফির আসল মুন্সিয়ানা পেখম মেলেনি। বরং চোটের কারণে দেশের মাটিতে হওয়া ২০১১ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ায় মাশরাফির ওই চোখের জলের ছবিটাই বেশি হৃদয়ে লেখা আছে মানুষের।

- YouTube -

 

সেই কান্নার জলেই হয়তো লেখা হয়ে যায় পরবর্তী এক কিংবদন্তী অধিনায়কের। তৃতীয় পর্বের অধিনায়কত্ব তো মাশরাফিকে বানিয়ে দেয় সাধারণ থেকে অসাধারণ, নায়ক থেকে মহানায়কে। এই সময়কার ছবিটাই তো সারাজীবন মানুষের চোখে জ্বল জ্বল করবে। বাংলাদেশ দল তখন একেবারেই পায়ের তলা মাটি হারিয়ে ফেলেছিল। একেবারে ছন্নছাড়া যাকে বলে। সেই দলকে টেনে তুলতে মাশরাফির দ্বারস্থ হয় ক্রিকেট বোর্ড। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হুট করেই মুশফিককে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দেয়া হয় মাশরাফিকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে হওয়া দু’টি ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশ পেয়ে যায় দলবদ্ধ হয়ে খেলার জ্বালানি, যেটি সরবরাহ করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি।

 

এরপর ওয়েস্ট সফরে হোয়াইটওয়াশ হওয়া, চারপাশে মুশফিকের নেতৃত্বের সমালোচনা, আত্মবিশ্বাসের তলানিতে ডুবে থাকা দলটাকে আবারও জাগিয়ে তুলতে এবারও ক্রিকেট বোর্ড দ্বারস্থ হয় ওই সোনার হরিণ মাশরাফির দিকে। নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ দিয়ে ওয়ানডের অধিনায়কও হয়ে যান ম্যাশ। এবং অধিনায়ক হয়েই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে শুরু হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন যুগ। ২০১৫ বিশ্বকাপে মাশরাফির অধিনায়কত্বে নতুন বাংলাদেশকে দেখতে পায় বিশ্ব। ওই বিশ্বকাপে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে খেলেও ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতা চলতে থাকে পরবর্তীতেও। ঘরের মাঠে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানকে মাটিতে নামায় বাংলাদেশ। এরপর জুনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরেক পরাশক্তি ভারতকেও উপহার দেয়-সিরিজ হার। সেই সিরিজেই আবির্ভাব মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক কাটার মাস্টারের। যার উত্থানের পেছনেও আছে মাশরাফি। কোচ, নির্বাচক কেউ চাননি, কিন্তু মাশরাফির একার চাওয়াতে খেলতে নামেন ফিজ। এরপর কি হয়েছে তা তো দেখেছে পুরো বিশ্ব। মূলত ভারতকে এই সিরিজ হারানোর মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশের ‘শ্রেষ্ঠত্ব’ প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্বে। ততদিনে দল সামলানো, হতাশার অথৈ জলে ডুবে থাকা সতীর্থদের জাগিয়ে তোলা, সেরাটা বের করে আনা আর একই ছাতার নিচে নিয়ে আসা, নিজের যন্ত্রণাকে লুকিয়ে দলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য মাশরাফি পরিচিতি পেয়ে যান ‘প্রেরণাদায়ী’ অধিনায়ক হিসেবে।

 

অধিনায়ক মাশরাফির জয়রথ চলতে থাকে। জুলাইয়ে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারের তিক্ততা উপহার দেয় বাংলাদেশ। নভেম্বরে আবারও জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ উঠে আসে র‍্যাংকিংয়ের সাত নম্বরে। যার জন্য ২০১৯ বিশ্বকাপ, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলাও নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে সবাইকে চমকে দিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে আসে বাংলাদেশ। যদিও ভারতের কাছে কষ্টের হারে ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ১ রানে হারলেও বাংলাদেশের লড়াই প্রশংসিত হয়েছিল সবখানে। ওই বিশ্বকাপের পর সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানকেও ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দেশের মাটিতে টানা ছয় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। ২০১৯ বিশ্বকাপে অবশ্য তেমন একটা ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তানকে হারানো ও একটা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া বাদে বাকি সবগুলোতেই হার। শুরুটা আশার হাওয়ায় ডানা মেলে হলেও সময়ের বয়স যতই বেড়েছে ততই মলিন পারফরম্যান্সে মিলিয়ে যায় সব। যদিও ম্যাচের পর ম্যাচ অতিমানবীয় পারফরম্যান্স উপহার দেন সাকিব। সবমিলিয়ে এই বিশ্বকাপে সাকিব একদিকে উপহার দেন অভাবনীয় আনন্দ, অন্যদিকে মাশরাফি যেন ছিলেন বিষাদের প্রতিশব্দ। এরপর থেকে ধীরে ধীরে মাশরাফির ওপর ভরসা হারাতে শুরু করে ক্রিকেট বোর্ড। ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের আগে মাশরাফি আচমকা ঘোষণা দেন বিদায়ের। সংবাদ সম্মেলনে এসেই নাটকীয়ভাবে বলে বসেন-‘আমার একটা ঘোষণা আছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটা অধিনায়ক হিসেবে আমার শেষ ম্যাচ।’ এর আগে ২০১৭ সালে তো বিদায় দেন টি-টোয়েন্টিকে। অধিনায়ত্ব থেকে বিদায় নিলেও এখনো ওয়ানডে থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর নেননি মাশরাফি। কিন্তু ২০২০ সালের পর আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তাঁকে আর দেখা যায়নি মাঠে।

 

দেশের ক্রিকেটকে বদলে দেয়া এক জাদুকরকে শেষ বেলায় এভাবে অচ্যুতভাবে ছুঁড়ে ফেললেও দেশের মানুষের কাছে তিনি পেয়েছেন প্রাপ্য সম্মান। নড়াইলের ছোট্ট মহিষখোলা গ্রাম থেকে উঠে আসা সেদিনের কৌশিক তাই শুধু আজ শুধু ওই গ্রামের নয়, ৮৭ হাজার গ্রামজুড়েই তাঁর বিস্তৃতি।

 

একদিন হয়তো অন্য কোনো অধিনায়কের হাত ধরে আরও বড় বড় সাফল্যের শিরোপায় চুমু খাবে বাংলাদেশ। মাশরাফির রেকর্ডও হয়তো তুচ্ছ হয়ে যাবে ওই অধিনায়কের সামনে। কিন্তু তাতে হয়তো একটুও কমবে না মাশরাফীর কীর্তি। কেননা বহু বছর আগেই তো সর্বকালের সেরা ক্রীড়া লেখকদের একজন নেভিল কার্ডাস তো বলেই গিয়েছেন, ‘পরিসংখ্যান একটা আস্ত গাধা।’

 

সাফল্য, প্রেরণাদায়ী নেতা, নি ক্যাপ পরেও দেশের জন্য উজাড় করা প্রাণান্তকর লড়াই-ক্যারিয়ারজুড়ে একঝাঁক আবেগি ঘটনার জন্মদাতা মাশরাফি যে তাঁর নামটা কোটি ভক্তের হৃদয়ে সোনার হরফে লিখে ফেলেছেন। সেখানে পারফরম্যান্স নামের কিছু হিসেব-নিকেশ তুল্যমূল্যে হতে পারে না কখনো।

 

তাই দেশের মানুষ মাশরাফির নামটা শুনলে আবেগে বাসবেন। বলে উঠবেন তিনিই আমাদের সবসময়ের ‘ক্যাপ্টেন’।

 

আজ, কাল, হয়তো চিরকাল…

- Advertisement -

কমেন্ট করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

  • সাবস্ক্রাইব করুন তথ্যবহুল সত্য খবরের জন্য 

    You are our valued subscriber. We send weekly newsletter. NO SPAM

আরও পড়ুন

শোকগাথা লেখার আগে মাহমুদউল্লাহ কি লিখবেন গৌরবগাঁথা?

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেই গৌরবগাঁথা মনে আছে নিশ্চয়। টাইমমেশিনে চড়ে...

সালমান শাহ: ফরএভার ইন দ্য স্পটলাইট

কী এমন ছিল সালমানের মধ্যে যার জন্য তাকে আইডল...

বাংলা সিনেমার সুদিন ফিরবে কবে?

সালমান শাহ থেকে শুরু করে ফেরদৌস, শাকিব খান অথবা...