মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি শুধু দেশের মাটিতেই নয়, বরং বিশ্বের বুকেও তার সফলতার পতাকা উড়িয়েছেন। মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, আলহারামাইন পারফিউম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ১৯৫৮ সালে সিলেটেরবিয়ানীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন মাহতাবুর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।১৯৭০ সালে, মাত্র ১২ বছর বয়সে, তিনি পারিবারিক ব্যবসা ‘আল হারামাইন পারফিউমস’-এ যোগদান করেন।তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে আল হারামাইন আজবিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে তার ব্যবসার পরিধি সম্প্রসারণ করেন।
মাহতাবুর রহমানের ব্যবসায়িক সাফল্যের মূলে রয়েছে তার স্পষ্ট দিকনির্দেশনা, নীতি-নৈতিকতা, ঝুঁকি গ্রহণের স্পৃহা এবং সর্বোপরি কর্মীদের প্রতি আস্থা ও অনুপ্রেরণা। ব্যবসার পাশাপাশি তিনিএকজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবী। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তার জীবনী অনুপ্রেরণাদায়ক, বিশেষ করে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য। তার লড়াকু স্পৃহা, দৃঢ়তা ও নীতি-নৈতিকতা অনুসরণ করার মানসিকতা আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়।
মাহতাবুর রহমানের দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বে আল হারামাইন আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। ১০০ টিরও বেশি দেশে তাদের শাখা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করে। মাহতাবুর রহমান ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ধারণার প্রবল সমর্থক এবংবিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্যের খ্যাতি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তার দৃঢ় বিশ্বাস, ‘যদি স্বপ্ন দেখো বড়, তবে অর্জন করবে অনেক বড়।
মাহতাবুর রহমান তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একজন অনুপ্রেরণাকারী ব্যক্তিত্ব। তার জীবনী আমাদের শেখানো, কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ়তা ও নীতি-নৈতিকতা অনুসরণ করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব। তিনি ‘আল হারামাইন ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।
মাহতাবুর রহমান বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক। তিনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি এবং নিয়মিত নামাজ-রোজা পালন করেন।
এছাড়াও তিনি একজন সহজ-সরল ও বিনয়ী ব্যক্তি। মাহতাবুর রহমানের প্রবাস জীবন তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। প্রবাসে থাকাকালীন তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তা তাকে একজন সফল ব্যবসায়ী হতে সাহায্য করেছে।
তিনি একজন বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ভাবধারার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
মাহতাবুর রহমানের প্রবাস জীবনের কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ়তা ও নীতি-নৈতিকতা অনুসরণ করলেবিদেশেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব। মাহতাবুর রহমান একজন অনুপ্রেরণাকারী ব্যক্তিত্ব, যার প্রবাস জীবন তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়।