বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেকেরই অর্থনৈতিক সহায়তার প্রয়োজন হয়। এই চাহিদা পূরণে বেশ কয়েকটি ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ঋণ প্রদান করে। এই ঋণগুলি বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন “প্রবাসী ঋণ”, “অভিবাসন ঋণ”, “ওয়ার্কার্স ঋণ” ইত্যাদি।
প্রবাসীদের জন্য ব্যাংকের মূলত চারটি স্কিম রয়েছে।এগুলো হলো অভিবাসন ঋণ বা মাইগ্রেশন ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ, বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ, বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ।এসব স্কিমের আওতায় কোন রকম জামানত ছাড়াই একজন প্রবাসে গমনেচ্ছু ব্যক্তি অন্তত দুই বছর মেয়াদে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন।তবে বিদেশে গিয়ে কাজ করে এই ঋণের টাকা শোধ করা যায়।
কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য যারা প্রবাসে যেতে চান বা প্রবাস থেকে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারি ব্যাংকগুলোর সহায়তা নিতে আহ্বান জানিয়েছে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রায় দশ বছর আগে প্রবাসীদের সহায়তায় বাংলাদেশে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক চালু করা হয়।
এ পর্যন্ত সেই ব্যাংক থেকে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষকে ঋণ দিয়েছে ব্যাংক।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা কাজের জন্য বিদেশে যেতে চান, কিন্তু আর্থিক সঙ্গতির অভাব রয়েছে, তারা বিনা জামানতে এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন।
ব্যাংকের নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে ঋণের জন্য আবেদন করতে হয়। সেই সঙ্গে সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্টের ফটোকপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সম্বলিত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেটের ফটোকপি দিতে হবে। সেই সঙ্গে ঋণের দুই জন জামিনদারের জন্যও এসব কাগজপত্র দিতে হবে।
ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে এবং বিদেশ থেকে ওই হিসাবের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে হবে।
সেই সঙ্গে বিদেশের কাজের বিবরণ, ভিসা, এজেন্সির প্রত্যয়ন পত্র, বিমান টিকেট ইত্যাদি কাগজপত্র দিতে হয়।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরিশাস, ব্রুনাই, কাতার, ইতালি, ইউরোপের জন্য নয় শতাংশ সুদে দুই বছরের জন্য ঋণ পাওয়া যায়। তবে সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে এক বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- পূরণকৃত ঋণ আবেদনপত্র
- সর্বশেষ পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- টিন সার্টিফিকেটের ফটোকপি
- নোমিনির ছবি ও টিন সার্টিফিকেটের ফটোকপি
- আয়ের প্রমাণ (যেমন: বেতন সার্টিফিকেট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি)
- কর্মসংস্থানের প্রমাণ (যেমন: নিয়োগপত্র, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি)
- ভ্রমণ বীমা
- বিমান টিকিট
