শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড : প্রথম প্রতিবাদের নেপথ্যে

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে প্রাক প্রস্তুতিতে আরো অনেক নেপথ্য ঘটনা ছিল। সম্বন্ধে সাম্প্রতিক সময়ে আরো স্মৃতিকথা প্রকাশিত হচ্ছে। এরমধ্যে অনেক তথ্যেই মিল রয়েছে, আবার অনেক তথ্য রয়েছে নতুন। যেমন, ছাত্রনেতারা জানিয়েছিলেন, প্রথম লিফলেটটি ছাপা হয়েছিল সূত্রাপুরের একটি প্রেস থেকে। সাবেক শ্রমিক নেতা মুনিরুজ্জামান জানিয়েছেন লিফলেটটি ছাপা হয়েছিল মগবাজারের এক প্রেস থেকে। আর্মির গাড়ি দিয়ে লিফলেট বিলির বিষয়টি পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে। এ বিষয়ে মুনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ব্যাপারটা আর্মি অফিসার জানতেন না। ১৫ই আগস্টের পূর্বাপর ঘটনা সম্পর্কে তিনি লিখেছেন :

 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর ঘাতক মেজররা সপরিবারে হত্যা করল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ঘটনাটা শুধু অপ্রত্যাশিত ছিল না, বরং এতটাই অবিশ্বাস্য ছিল যে, বঙ্গবন্ধুর যারা সমর্থক ছিলেন তারা তো বটেই যারা সমর্থক ছিলেন না তারাও প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি। পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মতো বোধশক্তি হারিয়ে বসেছিলেন অনেকেই। আমরা যদি এটাকে সারপ্রাইজ এলিমেন্ট বলি, তবে এটাই ছিল ঘাতকদের বঙ্গবন্ধু হত্যা-উত্তর পরিস্থিতি সামাল দেয়ার প্রধান উপাদান। এই ‘সারপ্রাইজ এলিমেন্ট,-এর ওপরই নির্ভর করেছিল ঘাতকদের ষড়যন্ত্রের সাফল্য। তারা হিসাব করেছিল বাঙালির মানসে বঙ্গবন্ধুর যে আসন সেটা যে কখনো কক্ষচ্যুত হতে পারে এটা বাঙালির বোধে ধরা পড়তে পড়তে তারা পরিস্থিতি গুছিয়ে নেবে। এই হিসাব থেকেই ঘাতকরা স্থির বিশ্বাসে পৌঁছেছিল যে, বঙ্গবন্ধু হত্যার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ হবে না।

 

‘সারপ্রাইজ এলিমেন্ট’ যে কাজ করেছিল এবং ঘাতকদের হিসাব যে সঠিক ছিল পরবর্তী ঘটনাবলি তা প্রমাণ করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিবাদ হয়নি, কিংকর্তব্যবিমূঢ় রাজনৈতিক নেতা এবং দেশবাসী ছিল হতচকিত। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল কিশোরগঞ্জের ছাত্র ইউনিয়ন, সিপিবি, ন্যাপ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কয়েকজন নেতা-কর্মীর প্রতিবাদ। . ১৬ অক্টোবর ঘাতকদের রিং লিডার খন্দকার মোশতাক বঙ্গভবনে এমপিদের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকে যেন সংসদ সদস্যরা না যায় তার একটা উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের কয়েকজন তরুণ নেতা, ছাত্র ইউনিয়ন, ডাকসু ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃদ্ধ সংসদ সদস্যদেরকে মোশতাকের ডাকে যাওয়া থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। ১৬ই অক্টোবর ১৯৭৫ সকালে প্রায় ১০০ তম  এমপি নাখালপাড়াস্থ এমপি হোস্টেলে সমবেত হন। উদ্দেশ্য বঙ্গভবনে যাওয়া। তাদের নিবৃত্ত করার জন্য সেখানে যান কয়েকজন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্যগণ বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন এবং প্রতিবাদের মধ্যে কুমিল্লার সিরাজুল হক শুধু বলেছিলেন মোশতাককে- ‘আপনি যদি সত্যিই রাষ্ট্রপতি থাকতে চান, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করা হয়েছে তা আমাদের জানাতে হবে। আইন অনুযায়ী আপনাকে বৈধ রাষ্ট্রপতি বলা যায় না। যারা আশা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সাথিরা, ‘পরীক্ষিত’ নেতারা প্রতিবাদ করবেন,

- Advertisement -

 

তাদের চারজন বাদে অন্যদের দেখলেন টিভির পর্দায় শপথ নিচ্ছে মন্ত্রিত্বের— — মোশতাকের মন্ত্রিত্বের সামনে মুজিবের লাশ। জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং তোফায়েল আহমদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ যারা মোশতাকের সঙ্গে হাত মেলালেন না, ২২শে আগস্ট ১৯৭৫-এর মধ্যে তাদের যেতে হলো কারাগারে।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ অথবা ১৬ই আগস্ট মুজিব হত্যা সম্পর্কে বিবিসির বিশ্লেষক যে মন্তব্য করেছিলেন এখন আর হুবহু তা মনে করা কঠিন। তবে তার মর্মার্থ হচ্ছে : ‘বুলেট হয়তো শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পেরেছে, কিন্তু বাংলার মানুষের সঙ্গে তাঁর যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তা কখনোই ছেদ করতে সক্ষম হবে না।’

 

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় স্বতঃস্ফূর্ণ প্রতিবাদ হয়নি নেতৃত্বের অভাবে। কিন্তু এই নির্মম ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ সংগঠিত হতে থাকে। নানাভাবে। কিন্তু তরুণ ছাত্র-কর্মীরা চুপ করে বসে ছিল না। সবটা এখন মনে নেই। তবে সম্ভবত ২৪ অথবা ২৫শে আগস্টেই মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নের কিছু নেতা-কর্মী জমায়েত হয়েছিলেন প্রতিবাদে। সেখানে ডাকসু সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জামান অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। প্রথমবারের মতো ঢাকায় একটি ঝটিকা প্রতিবাদ মিছিলও করেছিলেন পুলিশ- মিলিটারি টের পাওয়ার আগেই।

 

১৫ই আগস্টের কিছুদিন পরই ঢাকায় শোনা যায় কাদের সিদ্দিকী তার বাহিনী নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই শুরু করেছে। এই প্রচারের মধ্যে যে সত্যতা ছিল তাও পরে প্রমাণিত হয়েছে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে একটি-দুটি করে দেয়াল-লিখনও চোখে পড়তে শুরু করে। এরই মধ্যে প্রধানত সিপিবির উদ্যোগে বাকশাল তথা আওয়ামী লীগ নেতা যাঁরা মোশতাকের গ্রেফতার এড়াতে পেরেছিলেন তাঁদের সঙ্গে এবং ন্যাপ (মো.) নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় সংগঠিত পন্থায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করার। সিদ্ধান্ত হয় অক্টোবরের শেষদিকে প্রধানত ডাকসু এবং ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রকাশ্য উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদস্বরূপ। পরে প্রস্তুতি অসম্পূর্ণ থাকায় ৪ঠা নভেম্বর জাতীয় শোক দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। প্রচারের উদ্দেশ্যে দুটো লিফলেট ছাপানো হয়- একটি নিউজপ্রিন্টে, অন্যটি সাদা কাগজে। একটি লিফলেটে বাকশাল কর্মসূচি ও তার ব্যাখ্যাসহ বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা বর্ণিত ছিল। অন্যটিতে আহ্বান ছিল ৪ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় শোক দিবস পালনের। কর্মসূচি ছিল সকাল ১০টায় ডাকসুর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে ৩২ নম্বর বাড়ির উদ্দেশে মৌন মিছিল যাবে।

- YouTube -

 

এখানে কয়েকটি টুকরো ঘটনা উল্লেখ করা প্রয়োজন। সাদা কাগজে যে লিফলেটটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি ছাপানো হয় মগবাজারের একটি প্রেসে। প্রেসের মালিক তার সমস্ত কর্মচারীকে ছুটি দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নিজেই লিফলেটটি কম্পোজ করেন এবং ঝুঁকি নিয়ে সারারাত ধরে নিজেরাই ছাপেন।

 

পরদিন সকাল ১০টায় একজন ব্রিগেডিয়ারের ফোক্সওয়াগন গাড়িতে করে লিফলেটগুলো স্থানান্তরিত করা হয়। ব্রিগেডিয়ার ভদ্রলোক তার গাড়িটি ধার দিয়েছিলেন এক আত্মীয়কে। তিনি জানতেও পারেননি তার গাড়িতে করে ৪ঠা নভেম্বরের লিফলেট স্থানান্তরিত হচ্ছে। পরবর্তীকালে এই লিফলেটগুলো বিলি করতে গিয়ে বেশকিছু ছাত্রকর্মী গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।

 

৪ঠা নভেম্বর ১৯৭৫ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় বড় একটা জমায়েত হয়। এই জমায়েতে প্রধানত ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মী থাকলেও সিপিবি, আওয়ামী লীগ, ন্যাপ-নেতৃবৃন্দও কেউ কেউ উপস্থিত ছিলেন। আরো ছিলেন কিছু ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক নেতাকর্মী। মহিলা নেত্রীও ছিলেন কয়েকজন।

 

এর আগের দিন হয়ে গেছে খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান। অনেকের মধ্যে ধারণা এই অভ্যুত্থানটি হয়েছে আওয়ামী লীগ পন্থি। ১৫ই আগস্টের অভ্যুত্থান এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা যেহেতু হয়েছিল বাকশাল তথা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এবং ৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থান ১৫ই আগস্টের হোতা কিলার মেজর এবং খুনি মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে, সেই কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় অবস্থিত অনেকের মধ্যে (বিশেষত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃত্বের মধ্যে) দেখা গেল বেশ উৎফুল্ল ভাব। শত্রুর শত্রু আমার মিত্র – এই সহজ

 

সমীকরণ থেকে তারা ধরে নিল যে, এই অভ্যুত্থানটি ‘আওয়ামী লীগ পন্থি’। কিন্তু মোটেও খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগ পন্থি ছিল না। খালেদ মোশাররফ নিজেও যে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না এবং অভ্যুত্থান ঘটানোর আগে আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে খালেদ মোশারফ অভ্যুত্থান ঘটাননি সেটি পরে প্রমাণিত হয়েছে।

 

আসলে খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ৪ঠা নভেম্বরের মৌন মিছিলের প্রস্তুতি দুটো সমান্তরালভাবে হয়েছে। কিন্তু একে অপরের সাথে যোগাযোগ বা সম্পর্কহীনভাবে। কাকতালীয়ভাবে একইসঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা দুটোকে পরবর্তীকালে জাসদ এবং সেনাবাহিনীর ষড়যন্ত্রকারীরা এক করে প্রচার করে যে ‘খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান আওয়ামী লীগ এবং ভারত পন্থা’। এই প্রচারের মাধ্যমে সারাদেশে তারা একটি ভারতবিরোধী ভীতি এবং সেনাবাহিনীতে উন্মাদনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।

 

যাই হোক, ৪ঠা নভেম্বর প্রতিবাদ মিছিলের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে খালেদ মোশাররফের কথা হয় একবারই। তখনকার ডাকসু ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ৪ঠা নভেম্বর সকাল সাড়ে আটটা-নয়টা নাগাদ ফোন করে বলেছিলেন, ‘আমাদের নেতা জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করব। তাঁর জন্য চোখের পানি ফেলব। তাঁর জন্য শোক করব। মিছিল করব। আপনার আর্মি যেন বাধা না দেয়। খালেদ মোশাররফের সংক্ষিপ্ত জবাব ছিল, “ওটা সিভিলিয়ানদের ব্যাপার, আর্মির কিছু করার নেই।

 

সকাল ১০টার একটু পরে মিছিল রওনা হয় বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়ির উদ্দেশে। মিছিলকারীরা কালো ব্যাজ পরেছেন। অনেক মানুষের হাতে ফুল । শুরুতে দুই একজন উৎসাহী ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানও দিয়েছিলেন। পরে তাদের থামিয়ে দেয়া হয় শোক মিছিল, মৌন মিছিল বলে। বটতলা থেকে বেরুতে মিছিলটিকে আটকে দেয়া হয় নীলক্ষেত ফাঁড়ির সামনে। সেখানে মিছিলের সামনের কাতারে থাকা ডাকসু ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং ছাত্রনেতাদের সঙ্গে ২০/২৫ মিনিট পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে (সম্ভবত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পর) পুলিশ রাস্তা ছেড়ে দেয়। ধীরে ধীরে মিছিলটি নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে ৩২ নম্বরের দিকে যতই এগুতে থাকে ততই বড় হতে থাকে। রাস্তার দুই পাশ থেকে অনেক সাধারণ মানুষ মিছিলে যোগ দিতে থাকে। একসময় কলাবাগান থেকে মিছিলে যোগ দেন খালেদ মোশাররফের মা এবং ভাই রাশেদ মোশাররফ এমপি। এ থেকেই রটানো হয় খালেদ মোশাররফের মা’র নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে কলাবাগান থেকে ৩২ নম্বর পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া ছাড়া খালেদ মোশাররফের মা এবং রাশেদ মোশাররফদের মিছিলের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক ছিল না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির গেট ছিল বন্ধ।

 

সামনে ছিল পুলিশ। কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এক অভূতপূর্ব শোকবিহ্বল দৃশ্যের অবতারণা হয় ৩২ নম্বরের বাড়িটির গেটের সামনে। কান্নার রোল পড়ে যায়। সমস্ত পরিবেশ হয়ে পড়ে শোকাভিভূত। এরই মধ্যে মানুষ ফুল অর্পণ করে ৩২ নম্বরের বন্ধ করা গেটের সামনে। বলা যায়, যদিও শোক প্রকাশের উদ্দেশে মৌন মিছিল তবুও এটা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম সংগঠিত প্রতিবাদ’।

- Advertisement -

কমেন্ট করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

  • সাবস্ক্রাইব করুন তথ্যবহুল সত্য খবরের জন্য 

    You are our valued subscriber. We send weekly newsletter. NO SPAM

আরও পড়ুন

১৫ই আগস্ট দিনটিতে বঙ্গবন্ধুর যা করার কথা ছিল

জাতির জনক, রাষ্ট্রপ্রতিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ...