জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর সেসময় সেই অর্থে দেশে নিন্দা ও প্রতিবাদ না হলেও বিশ্বব্যাপী ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছিল। বিশ্ব নেতারা জানিয়েছিলেন তীব্র নিন্দা। সেসময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ ফলাও করে প্রচার করা হয়। পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
* তোমরা আমারই দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মুজিবকে হত্যা করেছ। আমি নিজেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি-মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত।
* শেখ মুজিব নিহত হলেন তার নিজেরই সেনাবাহিনীর হাতে অথচ তাকে হত্যা করতে পাকিস্তানিরা সাহস পর্যন্ত পায়নি – বিবিসি-১৫ আগস্ট ১৯৭৫।
* বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অন্যতম পথপ্রদর্শক । তাই তিনি অমর-সাদাম হোসেন।
* শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহা নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে – ফিদেল ক্যাস্ত্রেও।
* আপসহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য – ইয়াসির আরাফাত।
* মুজিব হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যে-কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে – নোবেল বিজয়ীউইলিবান্ট। শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামি জনগণকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন – কেনেথা কাউণ্ডা।
* শেখ মুজিব নিহত হওয়ার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহাননেতা ছিলেন। তার অনন্য সাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকারজনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল – ইন্দিরা গান্ধী।
* বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশই শুধু এতিম হয়নি, বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে- জেমসলামন্ড, ব্রিটিশ এমপি
* শেখ মুজিব ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব-ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
* মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিত না-ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
* যিশু মারা গেছেন। এখন লাখ লাখ লোক ক্রস ধারণ করে তাকে স্মরণ করছে। একদিন মুজিবই হবেন যিশুর মতো-আকাশবাণী, কলকাতা।
* বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে-ডেইলি টেলিগ্রাফ।
* শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তেজি এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না-হেনরি কিসিঞ্জার।
* টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবের কবর একদিন সমাধিস্থলে রূপান্তরিত হবে এবংবাঙালির তীর্থস্থানের মতো রূপলাভ করবে-আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
* শেখ মুজিব সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনসাধারণের হৃদয়ে উচ্চতম আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে তার বুলেট-বিক্ষত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারকচিহ্ন এবং তার কবরস্থান পুণ্যতীর্থে পরিণত হবে-বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ঢাকায় সংবাদ কভার করতে এসে বিমানবন্দর থেকে জোর করে ফেরত পাঠানো সাংবাদিক ব্রায়ান ব্যারন লন্ডনে ফিরে লিখেছিলেন।