বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় পর পর ৩টি মাইন বিষ্ফোরণে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী, জামছড়ি ও দোছড়ি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী এলাকার মো. হোসেনের ছেলে আলি হোসেন (৩৬), লেমুতলী এলাকার বাসিন্দা জাফর আলমের ছেলে আরিফ উল্লাহ (৩২) ও দোছড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড লেম্বুছড়ির বাসিন্দা মুজিবুর রহমানের ছেলে রাশেদুল ইসলাম রাসেল (২৫)।
সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, আহতরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে গরু আনতে গেলে বিস্ফোরণের শিকার হন। প্রথমে সকাল ৬টায় আলি হোসেন, পরে সকাল ১০টায় আরিফ উল্লাহ এবং সাড়ে ১০টায় রাসেল আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে আশারতলী সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে মাইন বিষ্ফোরণে আলী হোসেন নামের একজন আহত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্তের জামছড়ি এলাকায় মাইন বিষ্ফোরণে আরিফ উল্লাহ নামের আরেকজন আহত হন। এছাড়া, উপজেলার দোছড়ি সীমান্তে মাইন বিষ্ফোরণে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রাসেল আহত হন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুরুল হক জানান, সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। সীমান্ত অতিক্রম করা বিপজ্জনক হলেও স্থানীয়রা প্রায়ই গরু আনতে অবৈধভাবে মিয়ানমারে প্রবেশ করেন। এ বিষয়ে জানতে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।