শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫
30.9 C
Dhaka

মহাকাশে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন না সুনীতারা!

spot_img

ভিডিও

- Advertisement -

মহাশূন্যে মহাকাশচারীদের জীবন কেমন হয়? মহাকাশযানে তাঁরা কী ভাবে থাকেন? কী খাওয়াদাওয়া করেন? সুনীতা উইলিয়ামস এত দিন ধরে মহাকাশে রয়েছেন, তাঁর চেহারাই বা ও রকম হয়ে গেল কেন? পুষ্টির অভাব ঘটছে কি মহাকাশে?


মহাকাশে বসে কিসের অভাব সবচেয়ে বেশি বোধ করছেন সুনীতা উইলিয়ামস? সম্প্রতি তার উত্তর দিয়েছেন ভারতীয় বংশদ্ভূত মহাকাশচারী। জানিয়েছেন, বাড়ির খাবারই টানছে বেশি। মহাকাশে গিয়ে যাঁরা দিনের পর দিন থাকেন, তাঁরা কী খান? সুনীতার যে সাম্প্রতিক ছবি দেখা গিয়েছে, ছবিটা ও রকম এল কেন? ছবিতে তাঁকে এত রোগা ও ক্লান্ত দেখাচ্ছে কেন?


মহাকাশে বসে কিসের অভাব সবচেয়ে বেশি বোধ করছেন সুনীতা উইলিয়ামস? সম্প্রতি তার উত্তর দিয়েছেন ভারতীয় বংশদ্ভূত মহাকাশচারী। জানিয়েছেন, বাড়ির খাবারই টানছে বেশি। মহাকাশে গিয়ে যাঁরা দিনের পর দিন থাকেন, তাঁরা কী খান? সুনীতার যে সাম্প্রতিক ছবি দেখা গিয়েছে, ছবিটা ও রকম এল কেন? ছবিতে তাঁকে এত রোগা ও ক্লান্ত দেখাচ্ছে কেন?


ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক তেমন নয়। মহাকাশে খাবার বাছাই করতে হয় মাইক্রোগ্র্যাভিটির কথা মাথায় রেখে। এমন কিছু মহাকাশে নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ, যা থেকে বিপদ ঘটতে পারে। দীর্ঘ দিন মহাকাশে থাকার জন্য হালকা, সুস্বাদু, পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। খাবার যাতে দ্রুত নষ্ট না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। এমন খাবার, যা মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে থাকা মহাকাশচারীদের দ্রুত হজম হবে এবং দৈনিক ক্যালোরির চাহিদাও মিটবে। এমনিও মহাশূন্যে থাকাকালীন যে হেতু ওজন কমে যায়, তাই উচ্চ ক্যালোরির খাবারই খেতে হয়। সুনীতারাও যাতে তেমন খাবার পান, সে দিকেই নজর রাখা হচ্ছে। আর এখন নিয়ম অনেকটাই বদলেছে।


নাসার অ্যাপোলো মিশন থেকেই দেখা গিয়েছে, মহাকাশচারীদের পছন্দের খাবারই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কোরিয়ার এক মহাকাশচারী স্পেস স্টেশনে যাওয়ার সময়ে তাঁর দেশের ঐতিহ্যবাহী পদ কিমচি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁকে নাকি সেটাই দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের মহাকাশচারীদের কথা মাথায় রেখে তাই এখন খাওয়াদাওয়াতেও বৈচিত্র আনার কথা ভাবা হচ্ছে। ভেবে দেখুন, কোনও বাঙালি মহাকাশচারী যদি কখনও মহাশূন্যে যাওয়ার সুযোগ পান, তা হলে কি তিনি আলুর দম, বেগুনভাজা বা মিষ্টি দই নিয়ে যেতে পারবেন? সেটা হয়তো সময়ই বলবে।


সুনীতার চেহারা ভাঙছে তার কারণ হল, দীর্ঘ সময়ে একটানা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের বাইরে থাকায় তাঁর ওজন কমছে, প্রভাব পড়ছে রক্তচাপে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে পাক মেরে চলা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের শূন্য মাধ্যাকর্ষণে দিনের পর দিন থেকে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার কাজ কেবল কঠিনই নয়, কঠিনতম বললেও ভুল হবে না।


মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা শূন্য মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব একজনের শরীরকে কতটা নাস্তানাবুদ করতে পারে, তা কেবল মহাকাশ স্টেশনে থাকা একজন মহাকাশচারীই বলতে পারবেন। মাইক্রোগ্র্যাভিটি শরীরের মধ্যস্থ তরল ও রক্তচাপের উপর হস্তক্ষেপ করে প্রতিনিয়ত। কমতে থাকে ওজন। তরল জমা হতে থাকে মস্তিষ্কে, দুর্বল হয়ে পড়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। সেই সঙ্গে মহাজাগতিক বিকিরণের ঝাপটা তো আছেই। সব সয়ে মহাকাশ স্টেশনে সাত দিন কাটানোই বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সতীর্থ বুচ উইলমোর ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্দি রয়েছেন মহাকাশ স্টেশনে।

- Advertisement -
spot_img

আলোচিত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ

ভিডিও