“আজ আমরা যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলছি তা অত্যন্ত কাঁচা দরের চিন্তা। সরকারি পর্যায়ে দেখা যায়, কোনো কর্ম উপলক্ষে কিংবা কোনো আনুষ্ঠানিকতায় পুরোহিত দিয়ে প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থ থেকে অংশ বিশেষ পাঠ করিয়ে নেয়া হয়। ধর্মনিরপেক্ষতার এটা কি মাপকাঠি হতে পারে? আমার তো মনে হয় গণতন্ত্রহীন মূল্যবোধের এটা একটা স্বাভাবিক পরিণতি।
কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কি এই রেওয়াজ চালু আছে? বহুকাল আগেই এসবের মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। যা বলতে চাই তা এই যে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়বার জন্য আমাদের সেক্যুলার পদ্ধতিই অবলম্বন করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতার নাম করে সকল ধর্মকে টানতে গেলে, রাষ্ট্র ধর্মীয় শুধু নয়, সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠতে বাধ্য।”