মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইল জেলা এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা নিয়ে গঠিত হয় ১১ নং সেক্টর। মেজর এম. আবু তাহের ছিলেন সেক্টর কমান্ডার। যুদ্ধে মেজর তাহের আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহকে সেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়। এই সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল মহেন্দ্রগঞ্জ। প্রায় ২৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এই সেক্টরে যুদ্ধ করেছে। এই সেক্টরে ব্যাপক গেরিলা অপারেশন পরিচালিত হয়। নিয়মিত বাহিনী সীমান্ত এলাকায় মুক্ত অঞ্চল দখল করে রাখে। সুবেদার আফতাব যুদ্ধের সারা নয় মাস ধরে রাহুমনিতে মুক্ত এলাকা দখলে রাখেন। এই সেক্টরে মহিলারাও পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে। তাছাড়া কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা তার জেলায় ১৬০০০ গেরিলা যোদ্ধা সংগঠিত করেন এবং সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন।
এই সেক্টরের আটটি সাব-সেক্টর কমান্ডারদের নাম হচ্ছে:
মাইনকারচর
-স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ
মহেন্দ্রগঞ্জ
-লেফটেন্যান্ট মিজান
পুরখাসিয়া
-লেফটেন্যান্ট হাশেম
ঢালু
-লেফটেন্যান্ট তাহের আহমদ
-লেফটেন্যান্ট কামাল
রংরা
-মতিউর রহমান
শিববাড়ি
-ই.পি.আর-এর কয়েকজন জুনিয়র অফিসার
বাগমারা
-ই.পি.আর-এর কয়েকজন জুনিয়র অফিসার এবং
মহেশখোলা
-জনৈক ই.পি.আর সদস্য