মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ ইপিআর সৈন্যদের নিয়ে গঠিত হয় ৭ নং সেক্টর। এই সেক্টরে রাজশাহীতে প্রাথমিক অভিযান পরিচালিত হয় ক্যাপ্টেন গিয়াস ও ক্যাপ্টেন রশিদের নেতৃত্বে। মেজর নাজমুল হক সেক্টর কমান্ডার ছিলেন এবং পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান। বালুরঘাটের নিকটবর্তী তরঙ্গপুরে হেডকোয়ার্টার ছিল। আড়াই হাজার নিয়মিত সৈন্য ও সাড়ে বারো হাজার গেরিলা সৈন্যের সমন্বয়ে প্রায় ১৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এই সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
৭ নম্বর সেক্টরের সফল অভিযানগুলো হচ্ছে জুন মাসে মহেশকান্দা ও পরাগপুর এবং আগস্ট মাসে মোহনপুর থানা আক্রমণ। পাকিস্তানি বাহিনীর উপর হামজাপুর সাব-সেক্টরের কয়েকটি অতর্কিত আক্রমণ ও পার্বতীপুরের কাছে একটি ট্রেন বিধ্বস্ত।
এই সেক্টরের আটটি সাব-সেক্টর কমান্ডারদের নাম হচ্ছে:
মালন
–ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
তপন
-মেজর নজমুল হক
মেহেদীপুর
-সুবেদার ইলিয়াস এবং
-ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর
হামজাপুর
-ক্যাপ্টেন ইদ্রিস
আঙ্গিনাবাদ- একজন গণবাহিনীর সদস্য
শেখপাড়া
-ক্যাপ্টেন রশীদ
ঠোকরাবাড়ি
-সবেদার মোয়াজ্জেম
লালগোলা
-ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী