মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী এই সেক্টরের অপারেশনাল এলাকা হিসেবে গঠিত হয়। পরে মে মাসের শেষে অপারেশন এলাকা সংকুচিত করে কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনা জেলা, সাতক্ষীরা মহকুমা এবং ফরিদপুরের উত্তরাংশ নিয়ে পুনর্গঠিত হয় ৮ নম্বর সেক্টর। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর। কল্যানীতে ছিল হেডকোয়ার্টার। সেক্টর অন্তর্ভুক্ত সৈন্যবাহিনী গঠিত হয় ৩ হাজার নিয়মিত এবং ২৫ হাজার গেরিলা নিয়ে।
এই সেক্টরের সৈন্যরা এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বাংলাদেশের ৭-৮ মাইল অভ্যন্তরভাগে ঢুকে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে এবং এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যাতে পাকবাহিনী তাদের উপর আক্রমণ পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ হয়। এই উপায়ে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণকারী পাকবাহিনীর বহু সৈন্যকে পরাস্ত করে।
এই সেক্টরের সাতটি সাব-সেক্টর ও কমান্ডারদের নাম হচ্ছে:
বয়রা
-ক্যাপ্টেন খন্দকার নাজমুল হুদা
হাকিমপুর
-ক্যাপ্টেন শফিক উল্লাহ
ভোমরা
-ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এবং পরে ক্যাপ্টেন শাহাবুদ্দীন
লালবাজার
-ক্যাপ্টেন এ.আর আযম চৌধুরী
বানপুর
-ক্যাপ্টেন মুস্তাফিজুর রহমান
বেনাপোল
-ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম
-ক্যাপ্টেন তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী
শিকারপুর
-ক্যাপ্টেন তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী
-লেফটেন্যান্ট জাহাঙ্গীর