বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা এবং খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয় ৯ নং সেক্টর। বশিরহাটের নিকটবর্তী টাকিতে ছিল হেড কোয়ার্টার। মেজর এম.এ জলিল মিঞা, পরে মেজর জয়নাল আবেদীন এবং অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন মেজর এম.এ মঞ্জুর। প্রায় বিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এই সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
এই সেক্টরকে তিনটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়- টাকি, হিঙ্গলগঞ্জ ও শমসেরনগর। নিয়মিত বাহিনীও এই সেক্টরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আক্রমণ পরিচালনা করে। ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমরের নেতৃত্বে এক বিশাল গেরিলা বাহিনী বরিশালে অভিযান করে। ক্যাপ্টেন মেহদী আলী ইমাম পটুয়াখালীতে একটি স্থায়ী ঘাটি থেকে আক্রমণ পরিচালনা করেন। সুন্দরবন এলাকায় এক বিশাল বাহিনী পরিচালনা করেন লেফটেন্যান্ট জিয়া। নিয়মিত বাহিনীর এক বিশাল অংশ নিয়ে সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ক্যাপ্টেন হুদা। তিনি জুন মাসে শত্রুর উকশা সীমান্ত ঘাটি দখল করেন। দেভাতা ও শ্যামনগর থানা আক্রমণ করে দখল করে নেয়। বরিশাল-পটুয়াখালীর নদী এলাকায় নৌ-প্রহরার মাধ্যমে প্রাধান্য বিস্তার করা হয়। চূড়ান্ত আক্রমণের পূর্বে ডিসেম্বরে মাসে এই সেক্টরকে ৮ নং সেক্টরের সঙ্গে একীভূত করা হয়। এবং এই দায়িত্ব অর্পিত করা হয় মেজর এম এ মঞ্জুরকে।
এই সেক্টরের তিনটি সাব-সেক্টর ও কমান্ডারদের নাম হচ্ছে:
টাকি
এম এ জলিল মিঞা নিজেই এই সাব সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় দায়িত্বে ছিলেন-
১. ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহ
২. ক্যাপ্টেন মাহবুব আহমেদ
৩. মোহাম্মদ শাহজাহান (ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার নামে খ্যাত)
৪. ক্যাপ্টেন এম.এন হুদা
৫. ক্যাপ্টেন জিয়াউদ্দিন
৬. লে. মাহফুজ আলম বেগ
৭. লে. সামসুল আরেফিন
হিঙ্গলগঞ্জ
ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা
শমসেরনগর
ফ্লাইট লে. সলিম উল্লাহ। তাকে সহযোগিতা করেছেন লে. মাহফুজ আলম বেগ।